অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে জেল-জরিমানা থাকায় ভুল চিকিৎসার সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নেপাল এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুজন রাষ্ট্রদূত দেখা করেছেন। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনা হয়েছে। রোগীর সুরক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে কাজ শুরু হয়েছে। যারা হাসপাতালে সুরক্ষা নেন তাদের সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশেও রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কাজ হচ্ছে। রোগী যেন হাসপাতালে এসে সঠিক চিকিৎসা পান। যেখানে অপারেশন প্রয়োজন নেই সেটি যাতে করা না হয়, অপারেশন হলে যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব না থাকে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন কেবিনেটে অনুমোদন পেয়েছে। আশা করি অল্প দিনেই সংসদে নিতে পারবো।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করার ক্ষেত্রে এর অংশীজনদের বক্তব্য মাথায় রাখা হচ্ছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন একটি আইন করা হয়, তখন সব অংশীজনদের কথা ভাবা হয়। সব মন্ত্রণালয়, অন্যান্য সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মতামত নেওয়া হয়। সেই মতামতের ভিত্তিতে কাজ করি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসি। আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও বাইরের দেশের আইনও বিবেচনায় রাখা হয়। আমাদের আইন অনেক আধুনিক আইন হবে। এতে সব বিষয় স্থান পাবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি চিকিৎসায় যদি কারও ভুল হয়, কিংবা অবহেলা থাকে, শাস্তির বিধান রয়েছে আইনে। দোষ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা ডাক্তারদের বিরুদ্ধেও হবে, প্রতিষ্ঠানসহ যারা জড়িত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে আর্থিক থেকে শুরু করে জেলের বিষয়টিও রয়েছে। এতে সমস্যা কমে আসবে অনেকাংশে।
হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক অসদাচরণ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের বলেছি যে আমরা বর্তমান প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। নতুন আইন যে হচ্ছে, সেখানেও যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অন্যায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার আরেকটি দিক রয়েছে। যেমন রোগী যদি স্বাভাবিক কারণে মারা যান। কিন্তু আমরা বাইরে থেকে যদি মনে করি, সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। এ দিকটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। আবার ভুল চিকিৎসারও শাস্তি আইন অনুসারে নেওয়া হবে।
সুইজারল্যান্ড স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান জাহিদ মালেক।
নেপালের রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তার আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশের অনেক নেপালি ছাত্র মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করছেন। অনেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করছেন। বাংলাদেশের প্রায় তিন হাজার নেপালি ছাত্র লেখাপড়া করছেন। শতাধিক ছাত্র পোস্ট গ্রাজুয়েশন করছেন। নেপালি রাষ্ট্রদূত একটি কথা বলেছেন, ছাত্ররা যখন বিভিন্ন হাসপাতালে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেন, সেসময় বাংলাদেশি ছাত্ররা একটি ভাতা পেয়ে থাকেন, সেই একই ভাতা নেপালি ছাত্ররাও আশা করছেন।
Leave a Reply